The Court Room

July 16, 2025

জাতীয়

সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর ৮ দিনের রিমান্ডে

ছবি: সংগৃহীত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলমের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।  এর মধ্যে মো. রাসেল হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও লিটন উদ্দিন হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে জাহাংগীরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।  এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বয়স্ক, অনেক অসুস্থ। হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। এসব বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিল প্রার্থনা করছি। এ সময় জাহাংগীর আলম বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কিছু বলার আছে। অসত্যের সীমা আছে। সেটা লঙ্ঘন হলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট অফিস করিনি। ২৭ জুলাইয়ের ঘটনা ৫ আগস্ট দেখানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমিও ১৬ বছর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছি। আমাকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ এতদিন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন একই আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানার দুই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

জাতীয়

মালিহার ফেসবুক লাইভে বদলে যায় জাবির আন্দোলনের ধারা

মালিহা নামলাহ। ফাইল ছবি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশ নীরব থাকলেও সরব থাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের যে কোন অন্যায়ের ঘটনায় বরাবরই প্রতিবাদমুখর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর ব্যতিক্রম হয়নি কোটা সংস্কার আন্দোলনেও। অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ও পরবর্তীকালে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকই নারী। ফলে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারী শিক্ষার্থীরা সব সময়ই সরব। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও নিজেদের সবটুকু দিয়ে লড়াই করেছেন তারা। শিক্ষার্থীদের জোটবদ্ধ রেখে আন্দোলন পরিচালনায় যে ক’জন নারী শিক্ষার্থী সম্মুখ সারিতে অবস্থান করতেন তাদের মধ্যে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের ৫০ ব্যাচের ছাত্রী মালিহা নামলাহ-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মো. মোসলেহ উদ্দিন ও রুহীনা তাসনীম দম্পতির কন্যা মালিহার বেড়ে ওঠা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মালিহা সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছে। ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের ভেতর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ নৃশংস হামলা শুরু করলে মালিহা তার ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বিষয়টি সরাসরি উপস্থাপন করেন। তার এ সাহসী ভূমিকার কারণে সেদিন রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নৃশংস হামলা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছিল। ভিডিও দেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী মধ্যরাতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে ছুটে এসেছিলো উপাচার্য ভবনে। পাল্টে গিয়েছিলো দৃশ্যপট। পালাতে বাধ্য হয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেদিন ও পরবর্তী সময়েও স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছিলেন মালিহা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে তুলে ধরেছেন তার সাহসী অভিজ্ঞতার কথা। প্রশ্ন: একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে এই আন্দোলনে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন? মালিহা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলনে আমি সরব থাকতাম। ব্যক্তিগতভাবে কলেজ জীবন থেকেই আমি বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। ২৪ এর কোটা সংস্কার আন্দোলনেও আমি শুরু থেকেই সম্পৃক্ত ছিলাম। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য কিছুদিন বাড়িতে অবস্থান করেছিলাম। ১৪ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা শুরু করলে আমি পুনরায় ক্যাম্পাসে আসি। এসে আন্দোলনে যোগ দিই। প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলন যে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে এটা কি আপনারা জানতেন? মালিহা: বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন হিসেবেই এর শুরু। তবে আমি জানতে পেরেছিলাম কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের পরিকল্পনা ছিলো এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করা। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন শুরু করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুধাবন করেছিলাম যে এই আন্দোলন সফল হলে পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার পতন আন্দোলন শুরু হবে। প্রশ্ন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিলো? মালিহা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালেও কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছিলো। তখন আমরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হইনি। ২০২৪ এর ৫ জুন যখন ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক নাকচ ঘোষণা করা হলো তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি জায়গায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ শুরু করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ৬ জুন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিয়াম ভাইসহ কয়েকজন মিটিং করে। লাইব্রেরিতে বেশিরভাগই চাকুরীপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। তারা সাথে সাথে আলোচনার মাধ্যমে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এভাবে ২০২৪ এর কোটা সংস্কার আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রশ্ন: ক্যাম্পাসে শুরুতে এ আন্দোলন অহিংস থাকলেও কিভাবে সহিংসতায় রূপ নিলো? মালিহা: আমরা প্রথমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকি। বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিদিন অল্প সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ এবং আরো কিছু কর্মসূচি পালন করি। এতদিন কারোর সাথে কোন সহিংসতা হয়নি। তবে ১৪ জুলাই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকার সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা সে ন্যারেটিভ ভাঙ্গতে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সেদিন সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এক আন্দোলনকারীর ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তখন থেকেই মূলত ছাত্রলীগ আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। প্রশ্ন: শুরু থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আন্দোলন কীভাবে ধারাবাহিক রূপ নেয়? মালিহা: ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো ৬ জুন। ২০১৮ সালের ৫ জুন কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট নাকচ ঘোষণা করলে আবারো কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। পরবর্তী সময়ে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরলে আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়। কয়েকদিন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে বাড়ি চলে যাই। এর মধ্যে আন্দোলনে কোন সহিংসতা হয়নি। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ক্যাম্পাসে চলতে থাকে। ১৪ জুলাই হঠাৎ করে জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। সেদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ বলে স্লোগান দেয়। সেদিন সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আটকে রেখে মারধর করে। তাকে ছাড়াতে অন্য আন্দোলনকারীরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ সহিংসতা প্রদর্শন করে। লাবিব ভাইসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। সিসিটিভি ফুটেজ না দেখানোয় হলের প্রভোস্টকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আন্দোলনে যোগ দিতে ১৫ তারিখ আমি পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় আবারো আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। সেদিন বঙ্গবন্ধু হলের সামনে তারা সরাসরি লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল আটকিয়ে হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এমনকি ফাইজা আপুসহ অনেক নারী শিক্ষার্থীর ওপরও তারা নৃশংস হামলা করে। জাহিদ ভাইয়ের মাথা ফেটে বীভৎস অবস্থা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখি আহত শিক্ষার্থীদের আর্তনাদ। অনেক আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্যাম্পাস তখন আমাদের জন্য পুরোপুরি অনিরাপদ। তাই আমরা এই হামলার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিই। কিন্তু উপাচার্য ও তার প্রশাসন আমাদের কোন আশ্রয় কিংবা বিচারের আশ্বাস দিতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর উপাচার্য বের হয়ে ১৫ মিনিটের সময় নেয়, কিন্তু এতেও কোন ফলাফল আসেনি। শুরুর দিকে সেখানে আমরা ২০০-২৫০ জন আন্দোলনকারী ছিলাম। পরে ধীরে ধীরে কমে ৭০-৮০ জন আন্দোলনকারী অবস্থান করছিলাম। এক সময় আমরা জানতে পারি ছাত্রলীগ আবারো বহিরাগত সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাচ্ছে আমাদের ওপর হামলা করার জন্য। তারা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ মহড়া দিতে থাকে। এ অবস্থায় আমরা আতংকিত হয়ে উপাচার্য ভবনের মেইন গেইট টপকিয়ে ভেতরের উঠোনে প্রবেশ করি। উপাচার্যের কাছে আশ্রয় চাই। কিন্তু তিনি তার বাসার মূল দরজা খোলেননি। আমরা দরজার সামনে অবস্থান নিই। মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিলসহ এসে বাইরে থেকে আমাদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে। তারা ইট ও পেট্রোল বোমা ছোড়ে অনেকক্ষণ। আমরা কোন রকম ভেতরে নিজদের একসাথে আঘাত থেকে রক্ষা করি। সেই সময়ই প্রথম আমি ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রলীগের এই নৃশংসতা প্রচার শুরু করি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু শিক্ষক আমাদের প্রস্তাব দেয় তারা নিরাপদে নারী শিক্ষার্থীদের হলে পৌঁছে দিবে। কিন্তু আমরা বুঝছিলাম এটা আমরা

Uncategorized, রাজনীতি

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলা-আগুন

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন। ছবি: যুগান্তর মাসজুড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালের দিকে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।  আহতরা হলেন—গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও  মিনহাজ।  আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মার্চ টু গোপালগঞ্জকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে সমবেত হয়। পরে গোপালগঞ্জ টহল পুলিশের একটি টিমকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।  খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা এখন পর্যন্ত জানিনা। তবে আমাদের পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আহত ওই তিন সদস্যকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ

Uncategorized, খেলা, সর্বশেষ

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে যেমন হতে পারে একাদশ

আজ যারা জিতবে তাদের হাতেই উঠবে এই ট্রফি। ছবি: সংগৃহীত পাল্লেকেলের দুঃখ ডাম্বুলায় ঘুচিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ সমতায় এসেছে। লিটন দাসদের সামনে এবার সিরিজ নিশ্চিতের সম্ভাবনা। আজ কলম্বোতে শ্রীলংকাকে হারাতে পারলে ইতিহাস গড়া হবে টাইগারদের। একই সঙ্গে ভাঙা যাবে সিরিজ হারের বৃত্ত। হারলেই আবর আমিরাত, পাকিস্তানের পর আরেকটি সিরিজ হার জুটবে লিটন দাসের কাঁধে। সেটি নিশ্চিতভাবেই তিনি হতে দিতে চান না। অঘোষিত ফাইনালে তাই সেরা একাদশ নিয়েই নামবেন। টাইগারদের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন ‍উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চায় না বাংলাদেশ। তবে মঙ্গলবার অনুশীলনে অসুস্থতার জন্য আসেননি ফর্মে থাকা শামীম পাটোয়ারী। আজ যদি তিনি সুস্থ হয়ে না ওঠেন তবে এই একটি জায়গায় আসতে পারে পরিবর্তন। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ নাঈম শেখের খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। গতকাল শেষ ম্যাচে দল নিয়ে কোচ সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘কোনো দলই চাইবে না তাদের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে। শেষ ম্যাচে কী করেছি সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কালকে (আজ) যেন আমরা তাদেরকে হারাতে পারি, সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে যেতে হবে এবং সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য যে অস্ত্রগুলো নেয়া দরকার সেগুলো নিয়ে যাবো।’ প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল। আজ অবশ্য অপরিবর্তিত দল নিয়েই নামতে পারে টাইগাররা। কলম্বোতে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ ফয়সালার লড়াই। বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ বিসিবি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিটন দাস

Uncategorized, সর্বশেষ

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হচ্ছে কঠোর পদক্ষেপ

সড়কে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে রেখে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে লিফলেট বিতরণে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সড়কে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আর এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়—সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক হয়ে এই কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় আবু সাঈদের জীবনদানে দেশের মানুষ আজীবন তাকে মনে রাখবে বলেও জানান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। উল্লেখ্য, আজ ১৬ জুলাই, ‌‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। গত বছর এই দিনে রংপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ শহীদ হন। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে সরকার দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দিনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের তালিকায় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সারাদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে প্রার্থনা করা হবে।  অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই বিকালের দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসাবে নেতৃত্বে ছিলেন আবু সাঈদ। পুলিশের ধাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে আবু সাঈদ দুই হাত মেলে বুক পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ঠিক সেই মুহূর্তে রাস্তার উলটোদিকে মাত্র ১৫ মিটার দূর থেকে অন্তত দুই পুলিশ সদস্য শটগান থেকে সরাসরি তার ওপর গুলি চালান।

আন্তর্জাতিক, সর্বশেষ

এবার বৈধ অভিবাসীদেরও বহিষ্কার শুরু করল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরাও এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন দমন অভিযানের আওতায় পড়েছেন। তাদেরকেও এখন বহিষ্কারের মুখে পড়তে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহিষ্কার কর্মসূচি চালানোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে ট্রাম্প এবার নজর দিয়েছেন ১২ লাখ অভিবাসীর ওপর। যাদের অস্থায়ী সুরক্ষা (টিপিএস) দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীদের এই সুরক্ষা দিয়েছিলেন জো বাইডেনসহ আগের প্রসাশনগুলো। এই স্ট্যাটাসের আওতায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ মাস পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি পান, যা পরে নবায়নযোগ্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম টিপিএস প্রোগ্রামে থাকা ৭ লাখেরও বেশি অভিবাসীর সুরক্ষা বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাইতির ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৭ জন নাগরিক। যারা সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৭ জন ভেনেজুয়েলান, যারা নিকোলাস মাদুরোর দমনমূলক শাসন থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এবং ১১ হাজার ৭০০ জন আফগান নাগরিক। টিপিএস পাওয়া এক হাইতিয়ান বলেন, আমি কখনো অবৈধভাবে এখানে আসিনি বা থাকিওনি, আমি কোনোভাবেই অপরাধী নই। তিনি আরও বলেন, যদি আমাকে হাইতিতে ফিরে যেতে হয়, তাহলে শুধু প্রার্থনা করব যেন গুলি খেয়ে মরতে না হয়। প্রভাবিতদের মধ্যে আছেন ৫২ হাজার হন্ডুরাসবাসী ও ৩ হাজার নিকারাগুয়ান, যারা ১৯৯৯ সাল থেকে এই সুরক্ষা পেয়ে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে হন্ডুরাস দূতাবাসের উপপ্রধান লিওনার্দো ভালেনজুয়েলা নেদা বলেন, ‘হন্ডুরাস এখনও এত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।’ ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের দেওয়া মানবিক ‘প্যারোল’ সুবিধা পাওয়া শত-সহস্র অভিবাসীকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এর আওতায় অভিবাসীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ও কাজ করার অনুমতি পেতেন। কিন্তু এখন অভিবাসন আদালতগুলো এই পারোল মামলাগুলোর শুনানি বাতিল করছে। এসব অভিবাসীকে এখন আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা আটক করে দ্রুত বহিষ্কারের পথে পাঠাচ্ছে, কোনোরকম শুনানি ছাড়াই। অধিকারকর্মীরা এই পদ্ধতিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘রিমুভালপালুজা’ বা ‘বহিষ্কার-উৎসব’। এই নীতিগত পরিবর্তন ট্রাম্পকে তার বহিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ প্রশাসন ক্রমেই আইসিই অভিযান জোরদার করছে। ট্রাম্প প্রশাসন নতুনভাবে স্থির করেছে, যেসব অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তারা আদালতে বহিষ্কার প্রক্রিয়া চলাকালীন জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। জুলাই ৮ তারিখে আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লায়ন্স এক স্মারকে অফিসারদের জানিয়েছেন, আদালতের পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিবাসীদের আটক রাখা যাবে। এই প্রক্রিয়া কয়েক মাস এমনকি বছরের পর বছরও চলতে পারে এবং এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রবেশ করা লক্ষাধিক অভিবাসীর ওপর প্রযোজ্য হতে পারে। বহিষ্কারে নতুন বাজেট বরাদ্দ সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেস ৪ বছর মেয়াদে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বাজেট পাস করেছে, যার লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার কার্যক্রমে অর্থায়ন করা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন, ‘টিপিএস প্রোগ্রাম কোনো দিনই স্থায়ী নাগরিকত্ব বা স্থায়ী আবাসিকতার পথ হিসেবে তৈরি করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন এই প্রোগ্রামগুলোর অপব্যবহার করেছে।’ এই অভিযানে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল স্পষ্ট: বৈধ ও অবৈধ উভয় অভিবাসীর বিরুদ্ধেই এখন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা অভিবাসন নীতিতে এক নতুন দিকচিহ্ন তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র 

আন্তর্জাতিক, সর্বশেষ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। মালয়েশিয়ার সেরিকামবাগানের পুত্রা পারমাই সেলেসা অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টায় সমন্বিত অভিযানটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিম) সেলাঙ্গর কুয়ালালামপুর জিম, জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (পিজিএ), সুবাং জায়া সিটি কাউন্সিল (এমবিএসজে), ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট  জেপিএন) এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম) এর সহযোগিতায় পরিচালনা করে। ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিযানের সময় মোট ৭৪১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয়েছে এর মধ্যে কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, পাশের শর্ত লঙ্ঘন করা, ওভারটাইম থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অন্যান্য অপরাধে ৩৫৭ জন পুরুষ, ১০৭ জন মহিলা এবং ৩২ জন শিশুসহ ৪৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।  তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ান নাগরিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সেলাঙ্গর পাইকারি বাজারে, কাছাকাছি প্রাঙ্গণে, নির্মাণ খাতে এবং গৃহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করত। জাফরি আরও বলেন, এই স্থানটি সেলাঙ্গরে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য একটি হটস্পট। সময়ে সময়ে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।  জাফরি বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ এর মতো জাতীয় আইনের বিধান লঙ্ঘনকারী বিদেশী নাগরিকদের শনাক্ত, গ্রেফতার, বিচার এবং বহিষ্কার করার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগকারী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইমিগ্রেশন বিভাগ জনসাধারণ এবং নিয়োগকর্তাদের অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা না দেওয়ার জন্য বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মুখোমুখি না হয়ে জনসাধারণকে এগিয়ে এসে ইমিগ্রেশন বিভাগের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জাফরি জানান, ১৯ মে, ২০২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২৬ পর্যন্ত, ইমিগ্রেশন বিভাগ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০ বাস্তবায়ন করেছে যেখানে বিদেশিরা ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং ২০ রিঙ্গিতের একটি বিশেষ পাশ নিয়ে  অবৈধ অভিবাসীরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন। মালয়েশিয়া

সর্বশেষ

আবু সাঈদ স্মরণে আজ জুলাই শহীদ দিবস

আজ ১৬ জুলাই, ‌‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে। গত বছর এই দিনে রংপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ শহীদ হন। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে সরকার দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দিনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের তালিকায় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সারাদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে প্রার্থনা করা হবে।  অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই বিকালের দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসাবে নেতৃত্বে ছিলেন আবু সাঈদ। পুলিশের ধাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে আবু সাঈদ দুই হাত মেলে বুক পেতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ঠিক সেই মুহূর্তে রাস্তার উলটোদিকে মাত্র ১৫ মিটার দূর থেকে অন্তত দুই পুলিশ সদস্য শটগান থেকে সরাসরি তার ওপর গুলি চালান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থান

Scroll to Top