The Court Room

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক

এনবিআরে আন্দোলন: ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৯ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি

ছবি: সংগৃহীত কাস্টমস, ভ্যাট ও কর বিভাগের অব্যাহত কর্মবিরতি ও শাটডাউন কর্মসূচির ফলে অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।  বুধবার (১৬ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের শুল্ক-২ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধিরা কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন।  কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে- গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বন্ধ থাকায় কতটুকু রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করতে হবে। পাশাপাশি, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ এবং কর বিভাগের দুই মাসব্যাপী কর্মসূচির ফলে সব কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, বন্ড কমিশনারেট, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর অঞ্চলে যে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণও নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, চলমান কর্মসূচির প্রভাবে শুল্কায়ন কার্যক্রম, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। অফিস আদেশে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এতে রাজস্ব আহরণে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ করার ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা হলেন- ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প ঢাকার উপ-প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত কমিশনার) সিফাত-ই-মরিয়ম, মূল্য সংযোজন কর ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার (নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর) হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, কর অঞ্চল-২ এর বিভাগীয় প্রতিনিধি (যুগ্ম কর কমিশনার) মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, নোয়াখালী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. আশরাফুল আলম প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মো. শাহাদাত জামিল, খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার মোসা. নুশরাত জাহান শমী, কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল, ঢাকা উত্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা (কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট) সবুজ মিয়া, খুলনার রাজস্ব কর্মকর্তা (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট) শফিউল বশর। এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান সই করা ও জনস্বার্থে জারি করা এসব প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২২ জুন জারিকৃত বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী তাদেরকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এর আগে ২৪ জুন আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে দুটি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  এনবিআরের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র যুগান্তরকে জানায়, ইতোমধ্যে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বাইরে থাকা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও গতিবিধি তীক্ষ্ণ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এখনো কেউ কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার গোপন তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।  সূত্রটি আরও জানায়, পরবর্তী ধাপে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এনবিআর  ভ্যাট  শুল্ক

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের ফাঁসির আদেশ স্থগিত, জানা গেল নেপথ্য রহস্য

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া। ছবি: বিবিসি ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  আজই (১৬ জুলাই) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। খবর রয়টার্সের। এর আগে, নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ভারত। তবে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো কিংবা মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বর্তমানে ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি কারাগারে সাজা ভোগ করছেন ওই ভারতীয় নার্স।  ব্যবসায়িক সহযোগী ও ইয়েমেনের নাগরিক তালাল আব্দো মাহাদিকে হত্যার দায়ে ২০২০ সালে নিমিশা প্রিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কেরালার এই নার্সকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে নানা কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহাদিকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ওই ইয়েমেনি নাগরিক তাকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছিলেন বলে জানা যায়। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিমিশার মৃত্যুদণ্ড ১৬ জুলাই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে, নিহত ব্যক্তির পরিবার আপাতত তা স্থগিত করতে রাজি হয়েছে। যদিও এর মানে এই নয় যে, নিমিশা প্রিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বা তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ফলে সরকারিভাবে তেমন কিছু করার সুযোগও নেই। ভারত সরকার এর আগে জানায়, তারা তাদের সামর্থ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছে মৃত্যুদণ্ড রোধ করতে। এখন শেষ ভরসা হতে পারে ‘ব্লাড মানি’ বা রক্তমূল্য— যা ইসলামী শরিয়াহ আইনে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিলে তারা দোষীকে ক্ষমা করতে পারে। ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা সবরকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এবং গত কয়েক দিনে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে আপসে পৌঁছানোর জন্য সময় চেয়ে একাধিকবার অনুরোধ করেছে। সেই প্রচেষ্টার ফলেই এই স্থগিতাদেশ এসেছে। কে এই নিমিশা প্রিয়া? এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিমিশা ২০০৮ সালে ইয়েমেনে একজন নার্স হিসেবে পাড়ি দেন, পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতির আশায়। প্রাথমিকভাবে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে কাজ করলেও পরে ব্যক্তিগতভাবে একটি ক্লিনিক খোলেন। স্থানীয় আইনের কারণে তালাল আব্দো মাহাদি (৩৭) নামের ওই ইয়েমেনি ব্যবসায়ী এতে তার অংশীদার হন।  কিন্তু তালাল পরে তাকে নির্যাতন শুরু করেন। তিনি নিমিশার টাকা হাতিয়ে নেন এবং তার পাসপোর্ট জব্দ করেন। ফলে নিমিশা ইয়েমেন থেকে ফেরার উপায় হারিয়ে ফেলেন। আত্মরক্ষার চেষ্টা হিসেবে ২০১৭ সালে নিমিশা তালালকে ঘুমের ওষুধ পুশ করেন। এতে তালাল অজ্ঞান হওয়ার পর পাসপোর্ট উদ্ধার করাই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু এতে তালালের মৃত্যু হয় এবং নিমিশা ইয়েমেন ছেড়ে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার হন। এরপর নিমিশার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলে। ভারত সরকার তার জন্য স্থানীয় একজন আইনজীবী নিয়োগ করে। কিন্তু তার সব আবেদন খারিজ হয়। ২০২৩ সালে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ বিচার পরিষদ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন করেন। আইনি জটিলতা ও রক্তমূল্যের আশ্রয় এ বিষয়ে ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি সুপ্রিম কোর্টে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত জটিল একটি মামলা। ভারত সরকার যা কিছু সম্ভব ছিল, সবই করেছে। এখন একমাত্র উপায় হচ্ছে— নিহতের পরিবার যদি ‘রক্ত মূল্য’ গ্রহণ করে।’ ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী, হত্যার শিকার ব্যক্তির পরিবার যদি রক্তমূল্য গ্রহণ করে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায় না। তবে তারা সেটি গ্রহণ করতে রাজি না হলে নিমিশার ফাঁসি কার্যকর হতে পারে। নিমিশার জীবন এখন সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তালাল মাহাদির পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর। মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়াটা একটু সময় পাওয়া মাত্র, কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটিই তার বেঁচে থাকার একমাত্র আশার আলো। সাভার  ইয়েমেন হুথি

আন্তর্জাতিক

২০ লাখ লিটার তেলসহ ট্যাংকার জব্দ করল ইরান

ছবি: মেহের নিউজ ওমান সাগরে একটি বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান। জাহাজটি আনুমানিক ২০ লাখ লিটার চোরাই জ্বালানি বহন করছিল। হরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মোজতবা গাহরেমানি বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের সামুদ্রিক সীমানায় সন্দেহজনকভাবে জ্বালানি চোরাচালানের ওপর নজরদারির মধ্যে এই ট্যাংকারটি জব্দ করা হয়। খবর বার্তা সংস্থা মেহের-এর। মোজতবা গাহরেমানি জানান, ট্যাংকারটিতে বহন করা তেলের আইনি নথিপত্র অসম্পূর্ণ ছিল। ফলে চোরাচালানের সন্দেহে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। তবে জব্দকৃত জাহাজটির জাতীয়তা বা গন্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। মেহের-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ ইরানের জাস্ক শহরে এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। গাহরেমানি বলেন, ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনসহ মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার আওতায় প্রমাণ সংগ্রহ, জ্বালানির নমুনা পরীক্ষাসহ আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে। তিনি জানান, পরিমাণ নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে বিশ্লেষণ এবং কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। পুরো তদন্ত শেষ হলে মামলার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ইরান যে তার সামুদ্রিক সীমানায় চোরাচালান মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে, এ ঘটনা তারই প্রতিফলন। ইরান  ওমান  ইরান-ইসরাইল সংঘাত

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে কৃত্রিম পায়ে আবার হাঁটলো আহত উট ‘ক্যামি’

ক্যামিকে করাচির কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার রেসপন্স সার্ভিসেসে বিশেষভাবে তৈরি কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে প্রথমবারের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। — এক্স/@ShaziaAttaMarri পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সংঘর জেলায় এক নির্মম ঘটনার শিকার হয়ে সামনের পা হারানো উট ‘ক্যামি’ এক বছর পর আবার দাঁড়িয়ে হাঁটতে সক্ষম হয়েছে কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে। সোমবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। গত বছরের জুন মাসে সংঘরের মান্ধ জামরাও এলাকায় খাদ্যের খোঁজে একটি জমিতে ঢুকে পড়ায় এক জমিদার শাস্তিস্বরূপ ক্যামির সামনের পা কেটে ফেলেন। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া ক্যামির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ছয়জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই ক্যামিকে করাচির কমপ্রিহেনসিভ ডিজাস্টার রেসপন্স সার্ভিসেস (সিডিআরএস) বেনজি অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার প্রজেক্টের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়। সেখানে গত এক বছর ধরে ক্যামির নিবিড় চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং কৃত্রিম পা সংযোজনের প্রক্রিয়া চলে। মঙ্গলবার এক আবেগঘন মুহূর্তে সিডিআরএস সামাজিক মাধ্যমে ক্যামির প্রথমবারের মতো কৃত্রিম পায়ে দাঁড়ানোর ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে, ‘ক্যামি দাঁড়িয়েছে।’ তাদের পোস্টে বলা হয়, ‘এক বছর আগে ঠিক এই দিনে ক্যামিকে নির্মমভাবে আহত করে মরতে ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ, ক্যামি কৃত্রিম পায়ে দাঁড়িয়েছে। এই এক বছর ছিল চোখের জলে, ব্যথায়, পুনর্বাসনে আর নিঃশব্দ সংগ্রামে ভরা। সবাই বলেছিল হাল ছেড়ে দিতে, তাকে ত্যাগ করতে। কিন্তু আমরা তা করিনি। আজ ক্যামি আমাদের সবার জন্য দাঁড়িয়েছে।’ তারা আরও জানায়, ‘ক্যামির কৃত্রিম পায়ে অভ্যস্ত হতে এখনও সময় লাগবে, তবে আজকের দিন উদযাপনের, আশার এবং সেইসব নীরব জয়ের দিন, যা আসে তখনই যখন কেউ হাল ছেড়ে দেয় না।’ সিডিআরএস তাদের নিবেদিত টিম, সমর্থক এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির এমএনএ শাজিয়া মাররি ও সিনেটর কুরাতুলাইন মাররির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। সিন্ধু সরকার ক্যামির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের প্রতিশ্রুতি দেয়, আর মাররি বোনেরা পুরো প্রক্রিয়াকে ‘যৌথ প্রচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। শাজিয়া মাররি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মাসের পর মাস কঠোর পরিশ্রম আর যত্নের ফল যখন এমনভাবে প্রকাশ পায়, তখন তার আনন্দই আলাদা।’ কুরাতুলাইন মাররি লিখেছেন, ‘অস্থায়ী ক্ষোভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নিবেদিত সেবা অনেক বড়। ক্যামির জন্য যারা এখনও কাজ করে যাচ্ছেন, তারাই সত্যিকারের নায়ক।’ সিডিআরএস বায়োনিক পেটসের প্রতিষ্ঠাতা ডেরিক ক্যাম্পানার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, যিনি ক্যামির জন্য বিশেষভাবে তৈরি উপযুক্ত কৃত্রিম পা সরবরাহ করেছেন। ক্যামির এই নতুন করে দাঁড়িয়ে হাঁটা পাকিস্তানে পশু কল্যাণের ক্ষেত্রে এক আশার বার্তা এবং মানবিকতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকলো। পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য

প্রতীকী ছবি ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তেকে মার্চে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেফতার করে, তখন তার মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত ভাইয়ের ন্যায়বিচারের দাবিতে স্থানীয় টেলিভিশনে কথা বলেছিলেন শীরাহ এসকুয়ের্দো। কিন্তু কয়েকদিন পরই ফেসবুকে ভাইরাল হয় একটি এআই-উৎপাদিত ভিডিও, যেখানে দেখা যায় এসকুয়ের্দোর নিহত ভাই এফ্রাইম বেঁচে আছেন এবং বোনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলছেন। ভিডিওটিতে কম্পিউটার-উৎপাদিত এফ্রাইমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বেঁচে আছি, মরিনি। তোমাকে কি এর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে?’ দুতার্তের অনুসারী এক ইনফ্লুয়েন্সার এই ভিডিও পোস্ট করার পর তা হাজার হাজার দর্শক পায় এবং ‘ভুয়া মাদকযুদ্ধের শিকার’ বলে মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে এসকুয়ের্দো প্রতিদিন ঘৃণামূলক বার্তার শিকার হচ্ছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি প্রতিদিন শত শত নোটিফিকেশন আর ঘৃণার বার্তা নিয়ে ঘুম থেকে উঠি। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, অনেকেই এগুলো সত্যি বলে বিশ্বাস করছে।’ রাজনৈতিক বিভাজন ও ডিজিটাল প্রপাগান্ডা মার্চে দুতার্তের গ্রেফতারি ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে তার তিক্ত ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্যে ঘটে। উভয় পক্ষের সমর্থকরা এখন ডিজিটাল মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও বিকৃত ছবি ছাড়াও এই প্রচারণায় এআই-উৎপাদিত কনটেন্টের ব্যবহার বেড়েছে। মার্কোস জুনিয়র ও দুতার্তে পরিবার অতীতে ভুয়া তথ্যের প্রচার কৌশল ব্যবহার করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে দুতার্তে পক্ষের ভূমিকা বেশি। ম্যাস মিডিয়া বিশেষজ্ঞ দানিলো আরাও বলেন, ‘দুতার্তে পরিবার তাদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করতে চাইছে, আর এর জন্য তারা তথ্য বিকৃত করতে পিছু হটবে না।’ ভুয়া ভিডিও ও জনমত সম্প্রতি দুতার্তে পরিবারের পক্ষে তৈরি করা এআই-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জুনে দুতার্তে-ঘনিষ্ঠ এক সিনেটর ৮.৬ মিলিয়ন ভিউ পাওয়া একটি এআই ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ডেপুটি-প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তের বিরুদ্ধে ‘নির্বাচিত বিচার’ নিয়ে সমালোচনার জবাব দেওয়া হয়। ডেপুটি-প্রেসিডেন্ট এ ভিডিওকে সমর্থন করে বলেন, ‘লাভের উদ্দেশ্যে না হলে এমন ভিডিও শেয়ার করতে কোনো সমস্যা নেই।’ কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি আসলে ভুয়া তথ্যকে স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা। জনমত ও এআই ব্যবহার জুনে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, ফিলিপাইনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এখন ভুয়া তথ্য নিয়ে আগের চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে, এ বছরের মার্চে পরিচালিত জরিপে অন্তত ৫১ শতাংশ মানুষ চায় দুতার্তেকে তার অভিযোগের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হোক, এবং ৬৬ শতাংশ মানুষ সারা দুতার্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার অভিশংসন প্রক্রিয়ার দাবি জানিয়েছে। ফিলিপাইনের নির্বাচনের আগে এআই ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর হার বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে যেসব ভুয়া দাবি ছড়ানো হয়েছে, তার এক তৃতীয়াংশের পেছনে ডিপফেক প্রযুক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার দেখা গেছে। নীতি ও চ্যালেঞ্জ ডেটা অ্যান্ড এআই এথিকস পিএইচ-এর নির্বাহী পরিচালক কার্লজো হাভিয়ের বলেন, ‘এটি এআই-এর নয়, বরং মানব আচরণের সমস্যা। ভুয়া তথ্য ছড়ানোর এই অপচেষ্টা এআইকে ব্যবহার করে আরও জটিল হয়েছে।’ তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিকদের এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে নীতি প্রণয়নে উদ্যোগী হওয়া উচিত। তবে তাদের অনেকে যেহেতু এর সুবিধাভোগী, তাই বাস্তবে কতটা উদ্যোগী হবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফিলিপাইন  এআই  মাদকবিরোধী অভিযান

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার সংহতির প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন, ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা

প্রতীকী ছবি সিরিয়ার সংহতির প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন, ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও সংহতির প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে সৌদি আরব, একইসঙ্গে সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরাইলের অব্যাহত হামলার নিন্দা করেছে দেশটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ এবং দেশের বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা, শান্তি ও রাষ্ট্রের পূর্ণ কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সিরিয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে। বিবৃতিতে সৌদি আরব ইসরাইলের ‘স্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ এবং ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নকরণ চুক্তি ভঙ্গের ঘটনাকে নিন্দা করে জানায়, ইসরাইলের বারবার হামলা এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ সিরিয়ার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে। সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং অব্যাহত হামলার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার দাবি করেছে। এ নিন্দা এমন সময়ে এলো, যখন ইসরাইল দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়াইদা প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের দারা অঞ্চলে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান সুয়াইদা শহরে একাধিক হামলা চালিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। ইসরাইলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, সুয়াইদা শহরের ভেতরে একটি সিরিয়ান ট্যাঙ্কে আঘাত হানা হয়েছে এবং দারার ইজরা শহরের উপকণ্ঠে আরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে সিরিয়ার সামরিক বহর, ট্যাঙ্ক ও রকেট লঞ্চার সিস্টেমে হামলা চালানো হয়েছে, যাতে তাদের গতিবিধি ব্যাহত করা যায়। এই হামলা আসে ঠিক তখন, যখন সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা স্থানীয় দ্রুজ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সুয়াইদায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই এলাকা থেকে ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার সুয়াইদায় সশস্ত্র বেদুইন যোদ্ধা ও দ্রুজ মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে বলে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়। সিরিয়া  সৌদি আরব  ইসরাইল

আন্তর্জাতিক, সর্বশেষ

এবার বৈধ অভিবাসীদেরও বহিষ্কার শুরু করল ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরাও এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন দমন অভিযানের আওতায় পড়েছেন। তাদেরকেও এখন বহিষ্কারের মুখে পড়তে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহিষ্কার কর্মসূচি চালানোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে ট্রাম্প এবার নজর দিয়েছেন ১২ লাখ অভিবাসীর ওপর। যাদের অস্থায়ী সুরক্ষা (টিপিএস) দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পালিয়ে আসা অভিবাসীদের এই সুরক্ষা দিয়েছিলেন জো বাইডেনসহ আগের প্রসাশনগুলো। এই স্ট্যাটাসের আওতায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ মাস পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি পান, যা পরে নবায়নযোগ্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম টিপিএস প্রোগ্রামে থাকা ৭ লাখেরও বেশি অভিবাসীর সুরক্ষা বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাইতির ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৭ জন নাগরিক। যারা সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৭ জন ভেনেজুয়েলান, যারা নিকোলাস মাদুরোর দমনমূলক শাসন থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এবং ১১ হাজার ৭০০ জন আফগান নাগরিক। টিপিএস পাওয়া এক হাইতিয়ান বলেন, আমি কখনো অবৈধভাবে এখানে আসিনি বা থাকিওনি, আমি কোনোভাবেই অপরাধী নই। তিনি আরও বলেন, যদি আমাকে হাইতিতে ফিরে যেতে হয়, তাহলে শুধু প্রার্থনা করব যেন গুলি খেয়ে মরতে না হয়। প্রভাবিতদের মধ্যে আছেন ৫২ হাজার হন্ডুরাসবাসী ও ৩ হাজার নিকারাগুয়ান, যারা ১৯৯৯ সাল থেকে এই সুরক্ষা পেয়ে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে হন্ডুরাস দূতাবাসের উপপ্রধান লিওনার্দো ভালেনজুয়েলা নেদা বলেন, ‘হন্ডুরাস এখনও এত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।’ ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের দেওয়া মানবিক ‘প্যারোল’ সুবিধা পাওয়া শত-সহস্র অভিবাসীকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এর আওতায় অভিবাসীরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ও কাজ করার অনুমতি পেতেন। কিন্তু এখন অভিবাসন আদালতগুলো এই পারোল মামলাগুলোর শুনানি বাতিল করছে। এসব অভিবাসীকে এখন আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এজেন্টরা আটক করে দ্রুত বহিষ্কারের পথে পাঠাচ্ছে, কোনোরকম শুনানি ছাড়াই। অধিকারকর্মীরা এই পদ্ধতিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘রিমুভালপালুজা’ বা ‘বহিষ্কার-উৎসব’। এই নীতিগত পরিবর্তন ট্রাম্পকে তার বহিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ প্রশাসন ক্রমেই আইসিই অভিযান জোরদার করছে। ট্রাম্প প্রশাসন নতুনভাবে স্থির করেছে, যেসব অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, তারা আদালতে বহিষ্কার প্রক্রিয়া চলাকালীন জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। জুলাই ৮ তারিখে আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লায়ন্স এক স্মারকে অফিসারদের জানিয়েছেন, আদালতের পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিবাসীদের আটক রাখা যাবে। এই প্রক্রিয়া কয়েক মাস এমনকি বছরের পর বছরও চলতে পারে এবং এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রবেশ করা লক্ষাধিক অভিবাসীর ওপর প্রযোজ্য হতে পারে। বহিষ্কারে নতুন বাজেট বরাদ্দ সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেস ৪ বছর মেয়াদে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বাজেট পাস করেছে, যার লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসীদের আটক ও বহিষ্কার কার্যক্রমে অর্থায়ন করা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন, ‘টিপিএস প্রোগ্রাম কোনো দিনই স্থায়ী নাগরিকত্ব বা স্থায়ী আবাসিকতার পথ হিসেবে তৈরি করা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন এই প্রোগ্রামগুলোর অপব্যবহার করেছে।’ এই অভিযানে ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল স্পষ্ট: বৈধ ও অবৈধ উভয় অভিবাসীর বিরুদ্ধেই এখন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা অভিবাসন নীতিতে এক নতুন দিকচিহ্ন তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র 

আন্তর্জাতিক, সর্বশেষ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৯৪ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। মালয়েশিয়ার সেরিকামবাগানের পুত্রা পারমাই সেলেসা অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টায় সমন্বিত অভিযানটি মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিম) সেলাঙ্গর কুয়ালালামপুর জিম, জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (পিজিএ), সুবাং জায়া সিটি কাউন্সিল (এমবিএসজে), ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট  জেপিএন) এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম) এর সহযোগিতায় পরিচালনা করে। ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিযানের সময় মোট ৭৪১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয়েছে এর মধ্যে কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, পাশের শর্ত লঙ্ঘন করা, ওভারটাইম থাকা, অচেনা কার্ডধারী এবং অন্যান্য অপরাধে ৩৫৭ জন পুরুষ, ১০৭ জন মহিলা এবং ৩২ জন শিশুসহ ৪৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।  তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ান নাগরিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সেলাঙ্গর পাইকারি বাজারে, কাছাকাছি প্রাঙ্গণে, নির্মাণ খাতে এবং গৃহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করত। জাফরি আরও বলেন, এই স্থানটি সেলাঙ্গরে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য একটি হটস্পট। সময়ে সময়ে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।  জাফরি বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইন ২০০৭ এর মতো জাতীয় আইনের বিধান লঙ্ঘনকারী বিদেশী নাগরিকদের শনাক্ত, গ্রেফতার, বিচার এবং বহিষ্কার করার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগকারী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইমিগ্রেশন বিভাগ জনসাধারণ এবং নিয়োগকর্তাদের অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা না দেওয়ার জন্য বা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মুখোমুখি না হয়ে জনসাধারণকে এগিয়ে এসে ইমিগ্রেশন বিভাগের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জাফরি জানান, ১৯ মে, ২০২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২৬ পর্যন্ত, ইমিগ্রেশন বিভাগ অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০ বাস্তবায়ন করেছে যেখানে বিদেশিরা ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং ২০ রিঙ্গিতের একটি বিশেষ পাশ নিয়ে  অবৈধ অভিবাসীরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন। মালয়েশিয়া

Scroll to Top